বরগুনা: বরগুনায় পুলিশের ওপর হামলা করে রিমান্ডের আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে আসামি পক্ষের লোকজন। এ সময় পুলিশের ৪ জন সদস্যসহ বরগুনা সদর হাসপাতালের ৫ জন কর্মচারী আহত হয়েছেন। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনা সদর হাসপাতালে ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর তালতলী বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, বিএনপি কার্যালয় ও জিয়ামঞ্চ কার্যালয়ে এবং তালতলী উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি ওয়াসিমের বাসায় হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়। উপজেলা ছাত্রদলের বহিস্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজান ওরফে টাচ মিজান সহ ৯ জনকে আসামি করে গত ২১ অক্টোবর তালতলী থানায় উপজেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জিয়ামঞ্চ তালতলী উপজেলার আহবায়ক জাকির খলিফা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন- মিজান ওরফে টাচ মিজান, রাকিব, জাহিদ, জামাল, খলিল, ইমরান ওরফে বাটন ইমরান, রাজু ও ইউসুফ। আসামি রাজু ও জামাল বাদে ৭ জনকে জেলহাজত থেকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ বশির আলম বলেন, তালতলী থানায় দ্রুত বিচার আইনে করা একটি মামলায় টাচ মিজানসহ ৭ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ডে নেয়ার আগে আসামিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান মামলার তদন্ত করে কর্মকর্তা তালতলী থানার এস আই শহিদুল ইসলাম। এ সময় আসামি পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে আসামিসহ তাদের পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। হামলার ঘটনা দেখে হাসপাতালের কর্মচারীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে মারধর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, হামলার সংবাদ শুনে জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা হাসপাতালে ৭ আসামিসহ হামলার ঘটনা জড়িত আরও ৩ জনকে আটক করে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :